প্রকাশিত: ২৫/০১/২০১৭ ৯:৫৪ এএম

এম.বশিরুল আলম,লামাঃ
বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মরত স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সুজন বড়ুয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ, একই সাথে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত বিভাগীয় মামলা রুজু করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়। সহকর্মীর সাথে অসদাচারণের অভিযোগে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আবছার তার বিরুদ্ধে সিভিল সার্জনকে এ নির্দেশ প্রদান করেন। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের স্মারক নং- ২৯.২৩৫.০০৯.৩৩.০১.১০৩.(অংশ-১),২০১১-১৩১৬, তারিখ- ২৯.১২.২০১৬খ্রী: মূলে স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, তার সহকর্মী স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ২০১৪ সালে ঢাকার মহাখালীতে একটি প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করতে গেলে স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সুজন বড়–য়া যোন হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। পরবর্তীতে এসব বিষয়ে উপজেলার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর বাদী হয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুজন বড়–য়াকে সাময়িক বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে নিয়মিত বিভাগীয় মামলা রুজু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে নির্দেশসহ অনুরোধ করা হয়। স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সুজন বড়ুয়াকে সাময়িক বরখাস্তসহ তার বিরুদ্ধে নিয়মিত বিভাগীয় মামলা রুজুর নির্দেশ প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আবছার মুঠোফোনে বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রসেসিং চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার চাকুরী চলে যাবে।

নারীর মর্য়াদা-অধিকার নিশ্চিত ও ক্ষমতায়নে যে মূহুর্তে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সু-নাম কুড়াচ্ছেন, ঠিক সেই মূহুর্তে চাকুরী ও কর্মজীবি নারীরা সহকর্মি দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি সবাইকে ব্যাতিথ করছে। বান্দরবান সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সুজন বড়–য়ার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি বিধানে কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নিবেন, তাতে আগামীতে অন্য কোন চাকুরী জীবি বা কর্মজীবি নারীরা যেন নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবতে পারেন। সে বিষয়টি বিবেচনায় এনে সুজন বড়–য়ার লম্পটামির শাস্তি প্রদানের দাবী জানান সুশীল সমাজ।

পাঠকের মতামত